গাজীপুরে কারখানা খোলার দাবিতে বেক্সিমকো শ্রমিকদের সমাবেশ
গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ হওয়া ১৬টি কারখানা চালুর দাবিতে গণসমাবেশ করেছে কর্মহীন শ্রমিক, কর্মচারী ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরের সান সিটির মাঠে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কারখানার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
জানা যায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সব ফ্যাক্টরি খোলা, ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু এবং অন্যান্য বকেয়া পরিশোধের দাবিতে গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এদিন দুপুর ২টা থেকে সমাবেশ শুরু করে বিকেল সাড়ে ৫টায় সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এ সময় শ্রমিকরা দাবি জানিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানের সব ফ্যাক্টরি পুনরায় চালু করার এবং নিজেদের কর্মসংস্থান এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। যদি বেক্সিমকোর কারখানা না চলে তাহলে আশপাশে অন্য কোনো কারখানা চলতে দেবো না। আমরা কেন বৈষম্যের শিকার হবো? বুধবার সকালে আমরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে চাই। বেক্সিমকোর ৪২ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সমাবেশে শ্রমিক নেতা মোশরেফা মিশু বলেন, এই সমাবেশ থেকে যে কর্মসূচি ঘোষণা করবো ৪২ হাজার শ্রমিক সবাই এতে অংশ নেবে। বর্তমান সরকারের কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরবো। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ কারখানা খুলে দিতে হবে। বন্ধ কারখানার কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা চলবে না এবং প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিক নেতারা আরও বলেন, মালিক কারাগারে বলে শ্রমিক হয়রানি হতে পারে না।
শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, আজ দুপুর আড়াইটা থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা কারখানা খোলার দাবিতে ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে সমাবেশ শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় তারা সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।
জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভায় এই কারখানাগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিহাব খান/এএমকে