সুন্দরবনে ১৫ জেলে অপহৃত, ৩ দিনেও মেলেনি খোঁজ

সুন্দরবন থেকে ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছেন বনদস্যুরা। অপহরণের তিনদিনেও খোঁজ মেলেনি জেলেদের।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে অপহৃত জেলেদের পরিবারের সদস্য ও দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জেলেদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন জেলেরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- শাহআলম, আজাহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজান গাজী, রাসেল, শাহজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, শাহীনুর আলম, মতিয়ার সরদার, খান রফিক, রিপন মোড়ল, নুরে আলম, ও নাথন বিশ্বাস। তাদের বাড়ি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়। অপহৃত জেলেরা দুবলার আলোরকোল চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ শিকার ও শুঁটকি প্রক্রিয়া কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
এর আগে রোবার (২৬ জানুয়ারি) দুবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে ১৫ জেলেকে অপহরণ করে দস্যুরা। এসময় আরও জেলেদের অপহরণের চেষ্টাকালে তিন দস্যুকে মারধর করে আটক করে জেলেরা। পরবর্তীতে আটক জেলেদের কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আলোরকোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, কোস্টগার্ড আমাদের কাছে তিনজন দস্যুকে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দস্যুদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৫ জেলে ও মাছ ধরার একটি ট্রলারসহ জিম্মি করে রেখেছে দস্যুরা। জেলেদের পরিবারগুলো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাদের অতিদ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি জানান এই মাছ ব্যবসায়ী।
বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, সুন্দরবনের দুবলার চরের অপহৃত ১৫ জেলেদের উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শেখ আবু তালেব/এমএন