খুলনায় জানুয়ারি মাসে ৫ খুন, ধর্ষণ ৯

জানুয়ারি মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট দীপংকর দাশ বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলায় জানুয়ারি মাসে রাহাজানি একটি, চুরি ৬টি, খুন ৩টি, ধর্ষণ ৪টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ২টি, মাদকদ্রব্য বিষয়ক ৪১টি এবং অন্যান্য ৪৬টিসহ মোট ১০৩টি মামলা হয়েছে, যা বিগত মাসের চেয়ে ৮টি কম।
অন্যদিকে মহানগরীতে জানুয়ারি মাসে ডাকাতি ২টি, চুরি ১৪টি, খুন ২টি, অস্ত্র আইনে ৪টি, দ্রুত বিচার ৩টি, ধর্ষণ ৫টি, অপহরণ ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৪টি, মাদকদ্রব্য বিষয়ক ৮৩টি এবং অন্যান্য ৪৯টিসহ মোট ১৭৮টি মামলা হয়েছে যা বিগত মাসের চেয়ে ৩১টি বেশি।
সভায় পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন সভায় বলেন, বিগত মাসে খুলনা জেলা পুলিশের অধিক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া তিনটি হত্যাকাণ্ড পরিবারিক কারণে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে। সবকয়টি ক্ষেত্রে আসামি গ্রেপ্তার রয়েছে। অনলাইন জুয়ার বিস্তার বন্ধে পুলিশী অভিযানের সঙ্গে নাগরিক সচেতনতা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই এখন পুলিশের জন্য প্রথম অগ্রাধিকার। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহা. আহসান হাবীব বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন পুলিশের তদারকি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সম্প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। অপরাধ দমনে নিয়মিত প্যাট্রলিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হবে। খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হবে। কাঠ পুড়িয়ে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা তৈরির ব্যবসা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। সুন্দরবনে দস্যুতা, আটক করে মুক্তিপণ আদায়, বিষ দিয়ে মাছধরা বন্ধে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশ বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে করণীয় বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে গণ্যমান্য ব্যক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন বৈঠক করতে পারে।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মিলন/আরকে