কিছু সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার এড়াতে তাবলিগ জামাতকে ব্যবহার করতে পারে

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে একটি অভিযান চলছে। যেই অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য এই তাবলিগ জামাতকে ব্যবহার করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে স্থাপন করা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্টোল রুমে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নাজমুল করিম খান বলেন, আমি তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি ভাইদের কাছে অনুরোধ রাখবো আপনারা আপনাদের লোকদেরকে চেনেন, যদি কোনো আগন্তুক, কোনো সন্ত্রাসী, আপনার মনে হয় দেশের অন্য প্রান্ত থেকে ডেভিল হান্ট নামে আমরা যে অভিযান চালাচ্ছি, সেই অভিযানের প্রেক্ষিতে আপনার এখানে এসে ভর করছে, আপনাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, আপনারা সেটি লক্ষ্য রেখে আমাদের হাতে ধরিয়ে দেবেন। আমরা সকলকে নিরাপত্তা দিতে চাই। একটি নিরাপত্তার চাদরের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মানুষের যে ইজতেমাটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চাই।
পুরো ময়দানকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। আমরা আশা রাখছি, এই ইজতেমাটিও আপনাদের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। আমরা নিরাপত্তার জন্য এই পুরো ইজতেমা মাঠটিকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করেছি। পাঁচটি সেক্টরের মাধ্যমে আমরা ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসিয়েছি। যেখানে বাইনোকুলারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মুসল্লি ভাইদেরসহ সকল আগন্তুকদের চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা ১৫টি সাব কন্টোলরুম রেখেছি। আমরা ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরা মাঠের চারদিকে লাগিয়েছি। ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠের প্রত্যেকটি জায়গা পর্যবেক্ষণ করতে পারবো। আমরা ৩৫টি বাইনুকোলারসহ রুফটপ ডিউটি রেখেছি। স্টিল পিকেট ৫৩টি, মোবাইল পার্টি আছে ২০টি, টেকপোস্ট আছে ২০টি। ফুটপাত ও হকার উচ্ছেদে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে।
ইজতেমায় ময়দান এলাকায় ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে প্রথম পর্বের মতোই নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হকার উচ্ছেদের জন্য ড্রোন সার্ভিস রেখেছি। গতবারের মতো এবারও অন্য কোনো যদি পক্ষ ড্রোন উড়াতে চায়, আমি আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ রাখতে চাই পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই যেন ড্রোন উড়ায়। অন্যথায় যদি ড্রোন উড়ায় আমরা সেই ড্রোনটিকে নামিয়ে নেবো এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট টিম রেখেছি। যদি কোনো ক্রাইম হয় সেটি আমরা ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ম্যানেজ করব। আমরা ডগ স্কোয়াড রেখেছি। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট রেখেছি, নৌ টহল রেখেছি, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে র্যাবও টহল দেবে। এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৮০০ অর্থাৎ সাত হাজারের কাছাকাছি পুলিশ ফোর্স রেখেছি। সাদা পোশাকেও পুলিশ খিত্তার মধ্যে ডিউটি পালন করবে।
শিহাব খান/আরএআর