জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একজন বলছেন সংস্কার, একজন বলছেন স্থানীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হলে দেশে সুশাসন আসবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা হবে, জবাবদিহিতা হবে, জনগণ আস্থা খুঁজে পাবে। এ সরকারের কাজ হলো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুর শকুনি লেকপাড় স্বাধীনতা অঙ্গনে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান এ কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনশীল পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন গণদাবিতে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছি কিন্তু তার দোসরদের পতন ঘটাতে পারি নাই, তারা গঞ্জে গঞ্জে আছে। নেতাগিরি মুখ দেখিয়ে হয় না, নেতাগিরি হয় কাজের মাধ্যমে। তারেক রহমান বলেছেন, “আপনারা জনগণের পাশে থাকেন। রাজনীতি হবে কাজের মাধ্যমে।” অনেক রক্ত আর জীবনের বিনিময়ে একটি স্বাধীন গভর্নমেন্ট পেয়েছি। তারা চেষ্টা করছে, তবুও দেখেন দ্রব্যমূল্য আজ লাগামহীন। মানুষের জীবন আজ নিরাপদ নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে না। বাহিনীর পাশাপাশি আপনাদেরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে হবে। জনগণের পাশে গিয়ে তাদের সমর্থন নিতে হবে, যাতে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে। হাসিনা ও তার দলের লোকেরা যে নির্মম অত্যাচার করেছে সেখান থেকে কয়েকজন ফিরে আসতে পেরেছে, বাকিরা কেউ ফিরে আসতে পারেনি। তার বিচার হতে হবে, অবশ্যই বিচার হবে।
সেলিমা রহমান বলেন, তারেক রহমান যে ম্যাসেজ দিয়েছেন, তা হলো “দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। আপনারা বাজার সিন্ডিকেট বন্ধ করবেন। দোসরদের বিরুদ্ধে কাজ করবেন। যাতে দোসররা আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে।” তারেক রহমান শুধু জনগণের ভালোবাসায় বেঁচে আছেন। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হত্যার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নেত্রীকে ১০ বছর কারাগারে কাটাতে হয়েছে। শুধু তাই নয় তাকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। আপনারা জনগণের পাশে থাকবেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. জাফর আলী মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহগণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকি লাভলূ, মামুন অর রশিদ বাবুল, জামিনুর হোসেন মিঠু, মিজানুর রহমান মুরাদসহ জেলা ও ৫টি উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মাদারীপুর/এএমকে