যৌতুকের মামলায় কৃষি কর্মকর্তা কারাগারে

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসিফ রেজাকে যৌতুকের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতের জারিকারক মাকসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাকসুদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসিফের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগম মুন্নী এ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন
আসিফ নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। বাদী মুন্নী লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম মিয়ার মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে আসিফ রেজা কমলনগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি হাজিরহাট ইউনিয়নের গৃহবধূ মুন্নীকে কৃষাণী গ্রুপের সভাপতি নির্বাচিত করেন। এতে গৃহবধূর বাড়িতে তিনি আসা-যাওয়া করতে থাকেন। তিনি ওই গৃহবধূকে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়ে যান। এরমধ্যে তাদের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এতে গৃহবধূ তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন। পরে ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আসিফ তাকে বিয়ে করেন।
মুন্নিকে তিনি লক্ষ্মীপুরের ভাড়া বাসায় রাখতেন। পরে আসিফ বদলি হয়ে যান রায়পুর উপজেলায়। এরমধ্যে আসিফের প্রথম স্ত্রী ঘটনাটি জেনে যান। এতে দুজনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে আসিফ দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেবেন বলে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন আসিফ। এতে দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নী গত ২৮ জানুয়ারি অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আদালত আসিফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ঘটনাটি সমাধানের করবেন বলে তিনি আদালতের কাছে এক মাসের সময় চান। আদালত তা মঞ্জুর করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সমঝোতা না হওয়ায় মঙ্গলবার আসিফ আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ মোরশেদ আলম শিপন বলেন, যৌতুক মামলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসিফ রেজাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে আমরা ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।
রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। কাগজপত্র পেলে অফিসিয়ালভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএসএ