সেহরির সময় চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ

চাঁদপুরে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) ভোররাত ৪টার দিকে চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকার রুস্তম বেপারী বাড়ির ৬ষ্ঠ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেহরির জন্য রান্নার চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
দগ্ধদের মধ্যে আব্দুর রহমান (৫০-১৮ শতাংশ দগ্ধ), শানু বেগম (৪০-২০ শতাংশ), খাদিজা আক্তার (৩০-৮৫ শতাংশ দগ্ধ) ও মঈন (১৬-১৫ শতাংশ দগ্ধ) নামে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।-
কিছুটা কম দগ্ধ হয়েছেন এমন দুজন, ইমাম হোসেন (৩৫) ও দিবা আক্তার, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন
স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোররাতে সেহরির জন্য খাবার গরম করতে রান্নাঘরে যান পুত্রবধূ খাদিজা বেগম। ওই সময় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তারা জানান, ওই বাসায় মোট ১১ জন সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে ছয়জন দগ্ধ হন। আবদুর রহমানের ছোট ছেলে রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। তিনি বাসার প্রধান দরজায় তালা লাগিয়ে যান। এতে আগুন লাগার পর অন্যদের বাসা থেকে বের হতে বিলম্ব হয়। প্রতিবেশীরা দরজা খোলার পর তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বাকি দুইজন এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপরে আমরা এখনো কিছু জানতে পারিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আজ সকালের দিকে তাদের দগ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাদেরকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেফার্ড করেছি। দগ্ধদের সবার শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় তারা সবাই আশঙ্কাজনক।
আনোয়ারুল হক/এএমকে