সরাইলে ট্রান্সফরমার বিকল, ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন পাঁচ গ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। সরাইল সরকারি কলেজসংলগ্ন ট্রান্সফরমারটি ওই সময় বিকল হয়ে পড়লে কলেজ এলাকা, নাথপাড়া, দত্তপাড়া, সূত্রধরপাড়া, কর্মকারপাড়া ও ঘোষপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১১টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে স্থাপিত একমাত্র ট্রান্সফরমারটি আজ আর এলাকার চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। বাড়ছে জনসংখ্যা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বাড়ছে বিদ্যুতের চাপও। কিন্তু পুরোনো ও দুর্বল অবকাঠামো সেই চাহিদা সামাল দিতে পারছে না। ফলে নিয়মিতই ট্রান্সফরমার বিকল হচ্ছে।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা জানান, একবার ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে তা মেরামতে দিন দুয়েক লেগে যায়। কখনো কখনো চাঁদা তুলেও মেরামতের ব্যবস্থা করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ পড়ছে চরম দুর্ভোগে।
নাথপাড়ার বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষক আ ফ ম দেলোয়ার পাভেল বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই আমাদের এলাকার ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়ে। এটি যেন এখন নিয়মিত এক দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিন পরপরই মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তৎপরতা এমন যে, মেরামত পেতে দুই-তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। মাঝে মাঝে নিজেদেরই চাঁদা তুলে মেরামতের ব্যবস্থা করতে হয়। এই অব্যবস্থাপনা এবং নজরদারির অভাবে আমরা বছরের পর বছর ভুগছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবার নতুন করে বিদ্যুৎ ফিরে পাওয়ার জন্য এলাকাবাসীকে যেন সংগ্রাম করতে হয়। দায়িত্বশীল মহলের অবহেলা আমাদের এই অবস্থা এনে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় সরকারি কর্মচারী বলেন, আমরা বারবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাই না। ছয় মাস ধরে একটি বিদ্যুৎ তার খালের পানিতে ঝুলে আছে, কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সরাইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ বলেন, ‘বজ্রপাতে ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়েছিল। নতুন ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন করায় সময় লেগেছে। তবে ভবিষ্যতে এই পাঁচ গ্রামের জন্য আরেকটি ট্রান্সফরমার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’
মাজহারুল করিম অভি/আরকে