পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট ফিরে আসে না, হাসিনাও আর আসবেন না

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা বিদেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। এ জাতি বাঙালি জাতি। এরা কখনো কোনো পরাধীনতা মানেনি। পাশাপাশি পালানো ফ্যাসিস্ট ফিরে আসার কোনো নজির নেই। পলাতক শক্তি কোনো শক্তি না। সকালের মেঘে যেমন বৃষ্টি হয় না পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্টও আর ফিরে আসে না। শেখ হাসিনাও আর আসবেন না। তিনি ফিরে এলে হিটলার, মুসোলিনি, শেখ মুজিবও আবার ফিরে আসতেন।
ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ফরিদপুর জেলা আইনজীবী ইউনিটের সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের তৃতীয় তলায় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিতাই রায় বলেন, হাসিনা ছিলেন সব যুগে সব কালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট। তিনি ছিলেন বিদেশি পদলেহনকারী, দিল্লির পা চাটা গোলাম এবং দিল্লির হেরেমের রক্ষিতা।
তিনি বলেন, মোদি যদি মনে করেন এতদিন তিনি শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে যা করিয়ে নিয়েছেন, তা আবার করতে পারবেন- এ ধারণা ভুল। ভারতের সাথে আমরা সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই সমান মর্যাদা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা হাসিনা পালিয়ে গেছেন। তিনি একাই পালান নাই, পালায় গেছে সকল সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সব পৌরসভার মেয়র, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণও।
২৫ মার্চ শেখ মুজিব স্বেচ্ছায় ধরা দিয়েছিলেন মন্তব্য করে নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, স্বেচ্ছায় ধরা দেওয়া মানে তো আত্মসমর্পণই করা। পঁচাত্তরে শেখ মুজিবের মরদেহ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সিড়িতে পাড়ে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে বঙ্গভবনে নাটকীয়তা করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা আবার শপথ নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ফরায়েজি আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে পদ্মা নদীর দক্ষিণ পাড়ের ফরিদপুর-মাগুরার মানুষ আগ্রণী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, আজ আমরা মুক্ত হতে পেরেছি ফ্যাসিবাদের হাত থেকে। আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এই সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি আলী আশরাফ।
প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এস এ এম মোক্তার কবির খান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, জেরা আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জসীমউদ্দিন মৃধা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জেলা আইনজীবী ফোরামের সদস্য হেমায়েত হোসেন প্রমুখ।
জহির হোসেন/আরএআর