ভোলায় বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পেল সাড়ে ৮ হাজার মানুষ

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী সাড়ে ৮ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চরফ্যাশনের শশীভুষণ থানায় অবস্থিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আয়োজিত ‘আমার চোখ আমার আলো’ নামে পাইলট প্রকল্পের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত অংশীজন সভায় বিষয়টি জানান সংশ্লিষ্টরা।
সভায় বক্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার, আদ-দ্বীন হাসপাতাল, ডাটা ইয়াকা ও ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে এ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভোলার প্রান্তিক পর্যায়ের ১০ হাজার মানুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি থেকে ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যেসব রোগীদের চোখের সমস্যা জটিল তাদের চিকিৎসার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ প্রান্তিক জনগণের জন্য একটি নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করেছে। একই সঙ্গে চোখের যত্ন নেওয়ার আহ্বানও জানান তারা।
আমার চোখ আমার আলো প্রকল্প থেকে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন দক্ষিণ আইচা থানার ৭৫ বছর বয়সী জাহেদা খাতুন ও সামসুন নাহার ((৬০)। তারা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। অনেকদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছি। ঠিকমতো চোখে দেখতে পারতাম না। ১ মাস আগে এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিয়েছি। এখন পুরোপুরি চোখে দেখতে পাচ্ছি। এজন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তারা।
সভায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সিপিপির পরিচালক আহমাদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর, এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আনোয়ার হোসেন। চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ, পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক মীর সাজেদুর রহমান, ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বেলাল হোসেন, ভোলার সিভিল সার্জন ডা. মু. মনিরুল ইসলাম, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রসনা শারমিন মিথি প্রমুখ।
শূন্য অন্ধত্বই হলো এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকরা।
খাইরুল ইসলাম/আরএআর