দাফনের সময় কবরে পড়ে যায় মোবাইল, এক রাত পর মাটি সরিয়ে উদ্ধার

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দাফনের সময় হারিয়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন এক রাত পর কবর খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে দাফন কাজের সময় যুবক সামিউল ইসলামের মোবাইলটি কবরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় আলেমদের পরামর্শে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কবরের ওপরের সামান্য মাটি সরিয়ে ফোনটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর সামাজিক কবরস্থানে। দাফনের এক রাত পর মোবাইল উদ্ধারের এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, স্থানীয় যুবক সামিউল ইসলাম সামি গত মঙ্গলবার রাতে এক আত্মীয়ের জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নিতে জয়ন্তীপুর সামাজিক কবরস্থানে যান। রাত হওয়ায় মরদেহ নামানোর সময় তিনি মোবাইলের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে আলো দিচ্ছিলেন। দাফন শেষে মোবাইলটি জ্যাকেটের পকেটে রেখেছেন ভেবে তিনি বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে পকেট হাতড়ে দেখেন ফোনটি নেই।
সামিউল ইসলাম জানান, সন্দেহ হওয়ায় তিনি অন্য একটি নম্বর থেকে হারানো ফোনে কল দেন। মাঝে মাঝে রিং হলেও আবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিল। এতে তিনি নিশ্চিত হন, দাফনের সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ফোনটি কবরের ভেতরই পড়ে গেছে।
রাতভর দুশ্চিন্তা কাটিয়ে বুধবার সকালে তিনি বিষয়টি স্থানীয় আলেম ও মুরুব্বিদের জানান। ধর্মীয় দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা আছে কি না, তা যাচাই করে আলেমরা কবরের পবিত্রতা বজায় রেখে ওপরের সামান্য মাটি সরানোর অনুমতি দেন। তাদের পরামর্শে ও উপস্থিতিতে কবরের ওপরের দিকে মাত্র এক হাত পরিমাণ মাটি সরাতেই মোবাইলটি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ বলেন, মোবাইলটি লাশের শরীরে বা মাটির গভীরে যায়নি। দাফনের সময় লাশের ওপর দেওয়া বাঁশের চাটাই বা খাপাচির ওপরই এটি আটকে ছিল। তাই ওপরের সামান্য মাটি সরাতেই সেটি মিলেছে।
ফোনটি হাতে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে সামিউল ইসলাম সামি বলেন, রাতে কল ঢুকছিল বলে আমি নিশ্চিত ছিলাম ফোনটি সেখানেই আছে। আলহামদুলিল্লাহ, সকালে মুরুব্বিদের সহায়তায় সেটি উদ্ধার করতে পেরেছি।
আশিকুর রহমান/এআরবি