চায়নিজ কুড়ালের কোপে শিশুর মৃত্যু, কারাগারে ৬

রংপুরের পীরগঞ্জে অশ্লীল ভাষায় কথা বলার প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে শিশু হত্যার ঘটনায় মূল আসামি বিটুল মিয়াসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্ত বিটুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিটুল মিয়া ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের রাঙ্গাপুকুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের হাসারপাড়া গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে বেলাল হোসেন (১২) তার দুই বন্ধুকে নিয়ে বাড়ির পাশের বড়দহ বটতলা এলাকায় গরুর ঘাস আনতে যায়। এ সময় বিটুল মিয়া সেখানে বেলালের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে বেলাল হোসেনের মাথায় কোপ দেন বিটুল। এ দেখে বেলালের দুই বন্ধু চিৎকার করলে বিটুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় বেলালকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলালের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোখলেছার রহমান শুক্রবার রাতেই বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। ভোররাত ৩টার দিকে পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম থেকে বিটুল এবং তার নানা-নানি, দুই মামাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে শিশু হত্যার ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে। রাতেই মূল আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিটুল মিয়া নামের ওই যুবকের নামে আরও একটি হত্যা মামলা আছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএমকে