ভোলায় বাস-অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি, সব রুটে বাস ধর্মঘট

ভোলার চরফ্যাশনে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার সব অভ্যন্তরীণ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এ সময় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাস শ্রমিকরা।
সরেজমিনে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, জেলার ব্যস্ততম এ বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ কোনো রুটের উদ্দেশ্য বাসও ছেড়ে যায়নি এবং অন্য উপজেলা থেকেও কোনো বাস আসেনি।
চরফ্যাশনের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলা শহরে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও অটোরিকশাচালকদের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর তারা দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ওই এলাকাতে অবস্থান নেন এবং চরফ্যাশন থেকে ছেড়ে আসা ৯টি অটোরিকশা আটক করে বাসস্ট্যান্ডে ঢুকিয়ে রাখেন বাস শ্রমিকরা।
চরফ্যাশনে বাস শ্রমিকদের ওপর অটোরিকশা শ্রমিকরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করে জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান ও জেলা বাস মালিক শ্রমিক-ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজাদ মিয়া বলেন, বাস শ্রমিকদের হামলার ঘটনায় আমরা বাস ধর্মঘট ডেকেছি। হামলায় জড়িতদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত বাস ধর্মঘট চলবে।
এদিকে ভোলা অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, চরফ্যাশনে বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। আমাদের কয়েকজন অটোরিকশা শ্রমিক আহত হয়েছেন। কিন্তু আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডের ডিপো কর্মকর্তা অসীম দত্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাস শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছে এবং তারা বলেছে তাদের ওপর হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা বাস চালাবেন না। শ্রমিকরা ধর্মঘট তুলে নিলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।
খাইরুল ইসলাম/আরকে