কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় চেয়ারম্যানের ছেলে নিহতের ঘটনায় মামলা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের ছেলে স্কুলছাত্র আল কাবি মহিউদ্দিন ভূঁইয়া প্রবাল (১৭) নিহতের ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত তিন-চার জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাত ৮টার দিকে ভৈরব থানায় মামলাটি করেন নিহত প্রবালের বাবা পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতৃকা হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া। অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম শিমুলকে সন্ধ্যায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নিহত প্রবালের বাবার দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়ে বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন দুর্জয় মোড় এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার অন্তরকে। অন্য আসামিরা হলো- অন্তরের বাবা জিল্লু মিয়া, তার দুই ভাই নয়ন ও অনিক এবং রাজন ও তৌফিক। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে তিন থেকে চার জনকে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত প্রবালের বাবা মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমার ছেলে হত্যায় জড়িত এমন ছয় জনসহ অজ্ঞাত তিন থেকে চার জনকে আসামি করে আমি ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা করেছি। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, প্রবাল হত্যার ঘটনায় নিহত প্রবালের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম শিমুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন দুর্জয় মোড় এলাকার শাকিল মোটরস নামে এক দোকান থেকে প্রবালের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে দুর্জয় মোড় এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়। এরপর লোকমুখে খবর ছড়িয়ে পড়ে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম শিমুলের চাচাতো ভাই অন্তরসহ কয়েকজন কিশোর রক্তমাখা কাপড় নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেছে।
পরে পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবারও ঘটনাস্থলে আসে। তখন শাকিল মোটরসের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় প্রবালের লাশ দেয়াল ঘেঁষে পড়ে আছে। লাশের সঙ্গে একটি খালি বস্তাও পায় পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকারীরা লাশটি গুম করতে এ বস্তা এনেছিল। লাশ গুম করতে না পেরে হত্যাকারীরা রক্তমাখা কাপড় নিয়ে পালিয়ে যায়। নিহতের পরিবারের সদস্যরা রাত পৌনে ৯টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করে।
এসকে রাসেল/এসএসএইচ