পল্লী চিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ছাত্রদল কর্মীর

নোয়াখালীর সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে এক পল্লী চিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে মো. আবুল হোসেন রাফি (১৯) নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্যাল্লা কোট্টা চাঁন মিয়ার মোড় এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত রাফি সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মো. আজাদের ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে সক্রিয় ছাত্রদল কর্মী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুলতানা সোলাইমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিলেন রাফি। খেলার সময় রুমন নামে এক বন্ধুর ঠোঁটে আঘাত লাগলে, তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. শাহনের (৬০) কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তখন শাহীন চা দোকানে বসে ছিলেন এবং তিনি চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে রাফির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। উত্তেজনার মধ্যে শাহীন দোকানে থাকা ছুরি দিয়ে রাফির গলায় আঘাত করেন। স্থানীয়রা রাফিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহতের বড় ভাই ইমাম উদ্দিন জহির বলেন, রাফি সবসময় অন্যের পাশে দাঁড়াতে ভালোবাসত, কারো কষ্ট দেখলে চুপ থাকতে পারত না। সেই মানবিকতার কারণেই হয়তো বন্ধুর কষ্ট দেখে এগিয়ে গিয়েছিল। আর তাতেই প্রাণ গেল তার। রাফিকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই এবং পরিস্থিতি পরিদর্শন করি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, চিকিৎসা নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে এ দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিষয়টি খুব গুরুতের সঙ্গে দেখছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত তদন্ত শুরু করব এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
হাসিব আল আমিন/আরকে