গাইবান্ধায় সাবেক পাঁচ এমপিসহ ৮৪ জনের নামে মামলা

গাইবান্ধায় ছাত্রনেতা বায়োজিদ বোস্তামি জীমের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও গাইবান্ধা সদর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনিসহ জেলার পাঁচটি আসনের পাঁচ এমপির নামেই মামলা করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ আসামি রয়েছে আরও ৭৯ জন। একই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরও ১০০-১৫০ জনকে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার। ভুক্তভোগী বায়োজিদ বোস্তামি জীম ‘গাইবান্ধা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সদস্য সচিব।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক এমপি মাহবুব আরা বেগম, গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি আবুল কামাল আজাদ, গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবির, সুন্দরগঞ্জের সাবেক এমপি নাহিদ নিগার, পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর আসনের সাবেক এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ফুলছড়ি-সাঘাটা আসনের সাবেক এমপি মাহমুদ হাসান রিপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুজ্জামান রিংকু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজিব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ মাসুম জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ সরকার।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৪ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বায়োজিদকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসিফ সরকারের বাসায়। সেখানে তাকে নির্মমভাবে লোহার রড, হকিস্টিক ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। রাত ১০টার দিকে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া গত ৪ আগস্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বায়োজিদকে আবারও তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। তার শরীরে প্রায় ৭০-৭৫টি রাবার বুলেট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার পর হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, ছাত্র প্রতিনিধির হত্যাচেষ্টা মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে সাবেক হুইপ গিনিসহ কয়েকজন আগেই গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
রিপন আকন্দ/আরকে