দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়, নেই যানজট ও ভোগান্তি

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত এসব মানুষ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে ফিরছেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলের পর থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ ক্রমেই বাড়তে শুরু করে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহী বাসগুলো দৌলতদিয়া ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠছে। যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না, কোনো ধরনের ভোগান্তিও দেখা যায়নি। নির্বিঘ্নে নদী পার হয়ে তারা দ্রুতই গন্তব্যের পথে রওনা হচ্ছেন। লঞ্চ পারাপারের দিক থেকেও পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। ঘাট এলাকায় কোথাও তেমন কোনো যানজট বা বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়নি। ঈদের আগে যেমন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে যাত্রীরা পারাপার হয়েছিলেন, ঈদের পরেও একই ধরনের স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ঘাট ব্যবস্থাপনা মনিটরিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
একাধিক যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটির পর কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে তারা আগে কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু ঘাটে এসে তারা স্বস্তি পেয়েছেন। যানবাহন ও যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্নে হওয়ায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক সুপারভাইজার শিমুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে প্রতিদিন ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়েছিল। ঈদের পরেও একইভাবে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্ন পারাপারের জন্য আমরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিচ্ছি।
এদিকে, ফেরি পারাপারেও রয়েছে স্বস্তির চিত্র। বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বিবেচনায় ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার চলছে। প্রয়োজন হলে আরও ফেরি চালু করা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যাত্রীদের নিরাপদ ও ভোগান্তিহীন যাতায়াত নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ঘাটে কোথাও তেমন কোনো দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়নি। যানবাহনগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গে ফেরিতে উঠতে পারছে। সড়কপথ ও নদীপথের সমন্বয়ে ঘাট ব্যবস্থাপনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত আছে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এএমকে