পরিবেশ কর্মকর্তা পরিচয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় নির্মাণাধীন একটি স্টিল কোম্পানিতে পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিযান চালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ জুন) সন্ধ্যায় বস্তল এলাকার অ্যাম্পেয়ার স্টিল কোম্পানি থেকে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও এক ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার (০৯ জুন) সকালে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন- দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পূর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের জমিরউদ্দীন মন্ডলের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম মানিক, নাটোরের লালপুর উপজেলার গন্ডবিল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাইফুল ইসলাম সেন্টু, ডেমরার রামৈল গ্রামের জমির আলীর ছেলে কামরুজ্জামান ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার জাঙ্গালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. সরাফ মিয়া।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় অ্যাম্পেয়ার স্টিল কোম্পানির ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। এ সময় কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র দেখতে চান। তাছাড়া বিষয়টি মীমাংসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। কর্মচারীরা বিষয়টি অ্যাম্পেয়ার স্টিল কোম্পানির মালিক আবুল কালামকে অবগত করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে কোম্পানির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তাদের আটক রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ- অঞ্চল) মো. বিল্লাল হোসেন ও তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতারকদের আটক করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো- ১১-৭৫৪৬) ও এক ক্যান বিয়ার উদ্ধার করে পুলিশ।
আটকদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে এ্যাম্পেয়ার স্টিল কোম্পানির কর্মচারী আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা করেন। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মাদক মামলা করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে কোম্পানিতে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শেখ-ফরিদ/আরএআর