পতিত ফ্যাসিস্টদের দোসররা নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেছেন, স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে দেশের মানুষ সুন্দর ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষায় গণআন্দোলনে বারবার জীবন দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও সাম্য-ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের শেকল ছিঁড়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্ত হলেও পতিত ফ্যাসিস্টদের দোসররা নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে যেন চব্বিশের গণআন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা না যায়, সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলানায়তনে জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতিতে খুলনা মহানগর বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) খুলনা আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম মনা বলেন, দুষ্কৃতকারীদের সংঘটিত বর্বরোচিত ও পশুর চেয়েও হিংস্রতায় গোটা দেশের মানুষ হতভম্ব। নারীদের ওপর ধারাবাহিক পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশের নারী সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বর্তমান সরকারকে কঠোর হস্তে দুষ্কৃতকারীদের দমনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয় বলেই নারীর ওপর এ ধরনের বর্বর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সারা দেশে শহীদ হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক। আন্দোলনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৭৩৪ জন শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু বিএনপিরই ৪২৩ জন ও ছাত্রদলের ১৪৪ জন। চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরাম ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। এছাড়া শ্রমিক দলের ৭২ জন, যুবদলের ৭১ জন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ২৪ জন শহীদ হয়েছেন।
ড্যাব খুলনার সভাপতি ডা. মো. রফিকুল হক বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা রেহানা ঈসা, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশীদ চৌধুরী মিরাজ, সদর থান বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ূন কবির, খালিশপুর থানার সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, সোনাডাঙ্গা থানার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ড্যাব নেতা ডা. স ম গোলাম আজম, ডা. মো. আকরামুজ্জামান, ডা. এস এম মাসুদুর রহমান লিমন, ডা. শওকত আলী, ডা. হুমায়রা মুসলিমা বাবলী, জাসাসের ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল, কৃষক দলের সজিব তালুকদার, অদনান ইসলাম দীপ, সোনাডাঙ্গা থানার সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির ইকবাল বাপ্পী, সদর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর