নোয়াখালীতে রোদের দেখা, জলাবদ্ধতায় এখনো ভোগান্তি

টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাত শেষে নোয়াখালীতে দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে আসে, আর রোদের ঝলকানিতে খানিকটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে বৃষ্টির বিরতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। জেলার সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাটসহ বিভিন্ন উপজেলার বহু গ্রাম এখনো পানির নিচে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাজার-হাটে থৈ থৈ পানি। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি লাখো মানুষ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মমতাজ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। সকালে সুর্য উঠায় বাড়িতে আসছি। বাড়িতে পানি আর পানি। পুকুর, রান্নাঘর, বসতঘর সব পানিতে ডুবে গেছে।
কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা আলাউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোদ উঠলেও ঘরে পানি। রান্না-বান্না, চলাচল—সব কিছুতেই কষ্ট হচ্ছে। কেউ কেউ সাময়িক শুকনো জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, আবার কেউ বাধ্য হয়ে ভেঙে পড়া ঘরেই দিন কাটাচ্ছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, কাঙ্ক্ষিত সূর্যের দেখা মিলেছে। আমাদের কাছে কিছুটা স্বস্তি লাগছে। আশা করি এবার পানিও কমবে। আসলে পানিতে থাকতে থাকতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তা ছাড়া অনেক মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীর পৌরসভাগুলোতে জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যা অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, খাল ও ড্রেনগুলো দখলের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। এসব ড্রেন ও খালগুলো পুনরুদ্ধারে পৌরসভাকে বারবার নির্দেশনা দিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯টি খাল চিহ্নিত করেছে যা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেবে এবং বিএডিসির প্রকল্পের আওতায় ১৭১ কিলোমিটার খাল খননের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে কাজগুলো বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন হবে। আকাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি কেটে যাবে বলে আমরা আশা করছি।
হাসিব আল আমিন/আরকে