নিজের বিয়ে ঠেকাতে প্রধান শিক্ষককে দরখাস্ত দিলো ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে প্রধান শিক্ষক বরাবর দরখাস্ত দিয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। সে উপজেলার কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) উপজেলার কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ শর্মার কাছে বিয়ে বন্ধ করতে দরখাস্ত দেয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। দরখাস্তে সে উল্লেখ করেছে, তার জন্ম ২০১২ সালের ১৬ জুন। বর্তমানে কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ইচ্ছের বিরুদ্ধে পরিবার জোরপূর্বক তাকে বিয়ে দিচ্ছে। তবে বিবাহে রাজি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্থ হয়েছে সে।
এ বিষয়ে কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ শর্মা বলেন, দরখাস্তটি আমি গ্রহণ করেছি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিস ও ইউএনওকে জানিয়েছি। একইসাথে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বিয়ের বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি জানান, পারিবারিকভাবে দেখাশোনা হয়েছে, তবে বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করা হয়নি। এখন মেয়ের বিয়ে দেব না। আর যদি দিই, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিয়েন।
ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, মেয়েটির কোনো এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার পরিবার কথা প্রসঙ্গে মেয়েটিকে বলেছিল তোকে বিয়ে দিয়ে দেব। এ নিয়ে মেয়েটি প্রধান শিক্ষক বরাবর দরখাস্ত দিয়েছে। আমরা মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিয়ের কোনো আয়োজন পাইনি। তবে ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে নজরে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, মেয়েটি নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে প্রধান শিক্ষক বরাবর দরখাস্ত দিয়েছে। আমরা সংবাদ পেয়েছি। মেয়েটির পরিবারের সাথে কথা বলেছি।
আনোয়ারুল হক/এমএএস