মিছিল শেষে বাড়ি ফেরা হলো না জামায়াত কর্মী মহি উদ্দিনের

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গণমিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ছয়ানী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী হাফেজ মহি উদ্দিন (৩২)।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী শাসনের পতন’ অনুষ্ঠান গণমিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফেজ মহি উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত মমতাজ মিয়ার ছোট ছেলে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার ছোট।
জানা যায়, মিছিল শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইজদী থেকে ছয়ানী ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হলে গুরুতর আহত হন হাফেজ মহি উদ্দিন। দুর্ঘটনায় তার একটি পা ভেঙে যায়। সঙ্গে থাকা জামায়াত নেতাকর্মীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতারা। তারা তার চিকিৎসার যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। চিকিৎসকেরা তার অবস্থা স্থিতিশীল জানিয়ে বৃহস্পতিবার অপারেশনের তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তার আগেই সোমবার রাতে আনুমানিক আড়াইটার দিকে হাসপাতালের বেডেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বোরহান উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাফেজ মহি উদ্দিন একজন ধর্মপ্রাণ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি এবং একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন তিনি। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাফেজ মহিউদ্দিন ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়েও জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এ দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে এলাকায় ও সংগঠনের মধ্যে গভীর শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হাসিব আল আমিন/আরকে