আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করবে : ডা. জাহিদ

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, গত চারটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বারবার ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদবিরোধী বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দেশব্যাপী বিজয় র্যালির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, দেশ পুনর্গঠনের পথে প্রথম কাজ হবে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা। যারা নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তাদের বিচার নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের জনগণ গত ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আজ আমাদের জাতীয় দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে এবং যারা হাজারো নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারি সরকারের শাসনামলে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। শতশত পরিবার আজও তাদের প্রিয়জনের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন। এই অন্যায়ের বিচার করতে হবে। দেশের জনগণ যেন আবার নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করাই হবে আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির কথা উল্লেখ আরও তিনি বলেন, স্বৈরাচারি শাসকগোষ্ঠী যে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তা দেশে ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে। পাশাপাশি, যারা আন্দোলন-সংগ্রামে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। পরে একটি বিশাল বিজয় র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালিতে দলের নেতা-কর্মীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা বহন করেন।
আরিফ আজগর/এমএএস