প্রধান শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটালেন সাবেক শিক্ষার্থী

জামালপুরের মেলান্দহে রুকনাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা সেলিমকে খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে মো. রবিন মিয়া নামে এক সাবেক শিক্ষার্থী।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রবিন মিয়া দক্ষিণ রুকনাই গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রবিনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম।
রুকনাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সেলিম মেলান্দহ উপজেলার ১ নম্বর দুরমুট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, রোববার সকাল ১১টার দিকে রুকনাই উচ্চ বিদ্যালয়ে যান প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সেলিম। মোটরসাইকেল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করলে পেছন থেকে রবিন মিয়া নামে সাবেক ছাত্র তাকে খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে গুরতর আহত হন প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সেলিম। পরে তাকে আহত অবস্থায় ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় সাবেক ছাত্র রবিন মিয়াকে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা আটকে রাখে। খবর পেয়ে রুকনাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযুক্ত রবিন নিজেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম জানান, সেলিম স্যার স্কুল মাঠে এলে হঠাৎ করেই রবিন স্যারের ওপর হামলা করে। পরে আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্ররা রবিনকে বিদ্যালয়ে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। হট্টগোল হওয়ায় বিদ্যালয় দুপুরের মধ্যেই ছুটি দেওয়া হয়েছে।
সাবেক ছাত্র অভিযুক্ত রবিন মিয়া বলেন, সেলিম মাস্টার আওয়ামী লীগের নেতা। আমার সঙ্গে তার কোনো পূর্ব শত্রুতা নেই। তিনি ফ্যাসিস্ট তাই তার ওপর হামলা করেছি।
প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সেলিম মুঠোফোনে জানান, রবিন আমার সাবেক ছাত্র। তার সঙ্গে আমার পূর্বের কোনো শত্রুতা নেই। কি কারণে হামলা করেছে আমার জানা নেই। তিনি আমার ছাত্র তাই আর কোনো অভিযোগ নেই।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযুক্ত রবিন ৫৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মুত্তাছিম বিল্লাহ/এমএন