বন্ধ করে দেওয়া হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সেই ইউটার্ন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ইউটার্নে কাভার্ডভ্যানের চাপায় প্রাইভেট কারে থাকা একই পরিবারের চারজন নিহতের পর সেই ইউটার্ন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ২৩ বীরের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহমুদুল হাসান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান ও হাইওয়ে পুলিশের লালমাই থানার ওসি মো. আদেল। এ সময় সেই ইউটার্নটিতে প্লাস্টিকের তৈরি অস্থায়ী ডিভাইডার বসানো হয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) কুমিল্লার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান ইবনে হাসান বলেন, এই ইউটার্নটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। আজ সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রশাসনের আরও একটি সভা হবে। সেখানে ইউটার্নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে আপাতত আজ থেকে ইউটার্নটি বন্ধ রাখা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সকল যানবাহন পাশের সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের পাশের দয়াপুর এলাকা দিয়ে ইউটার্ন করবে।
তিনি আরও বলেন, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ইউলুপের কাজ চলমান আছে। তা চালু না হওয়া পর্যন্ত ইউটার্নগুলোতে যানবাহন চালকদের সতর্কতার সাথে রাস্তা অতিক্রম করতে হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতে নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কাভার্ডভ্যান ও হানিফ পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালকদের আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার এসআই আনিসুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে দুর্ঘটনার জন্য কাভার্ডভ্যান ও হানিফ পরিবহনের বাসের চালকই দায়ী। মামলার অভিযোগেও তাদের কথা বলা হয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
গতকাল দুপুরে সিমেন্টবোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান প্রাইভেট কারের ওপর আছড়ে পড়ো। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন বড় ছেলে আবুল হাশেম। একই দুর্ঘটনায় লরির নিচে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রীও আহত হন। আহতরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরিফ আজগর/আরএআর