হত্যা ও মরদেহ পুঁতে রাখার ৭ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন

রংপুরের কাউনিয়ায় দাদন ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ফরিদ মিয়াকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় অপর আসামি ফরিদ মিয়ার স্ত্রী মিষ্টি বেগম মিনিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় প্রদান করেন। পরে আসামিকে কঠোর পুলিশি পাহারায় কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ে আসামি ফরিদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া, দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে, আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে রায় দেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের মালিয়াটারী মধ্যপাড়ার বাসিন্দা দাদন ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামি ফরিদ মিয়ার অর্থনৈতিক লেনদেন ছিল। এরে জেরে আসামি ফরিদ মিয়া চার শতাংশ জমি কবলা দলিল করে দেওয়ার পরও ৭০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। সেই পাওনা টাকার লভ্যাংশ নিতে প্রায়ই আসামির বাড়িতে যেতেন সিরাজুল ইসলাম। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে সিরাজুল ইসলামকে ফোনে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করেন আসামি ফরিদ মিয়া। এর পরদিন তার বাড়ির রান্না ঘরের মেঝেতে গর্ত করে মরদেহ পুঁতে রাখেন। এই ঘটনায় নিহত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মবিনা বেগম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর মামলা চলাকালীন ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে রোববার এ রায় প্রদান করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আফতাব উদ্দিন ও আসামিপক্ষে শাহেদ কামাল ইবনে খতিব মামলাটি পরিচালনা করেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএমকে