ফের মহাসড়ক অবরোধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আয়তন বৃদ্ধি ও পরিবহন সংকট নিরসনের দাবিতে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত রোববার (৩১ আগস্ট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে যোগাযোগের আহ্বান জানায়। কিন্তু ইউজিসির পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কে সাময়িক যানজট ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, টানা আন্দোলনের পরেও ইউজিসির টনক নড়েনি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। যতদিন আমাদের দাবি আদায় না হবে, আন্দোলন চলতেই থাকবে।
শিক্ষার্থী অমিও মণ্ডল বলেন, ১৪ বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট কাটেনি। ফলে অধিকাংশ বিভাগে সেশনজট বাড়ছে। আবাসন, শিক্ষক, পরিবহন ও গ্রন্থাগারের বইয়ের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে ক্যাম্পাসে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন হয়, সেখানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নামমাত্র বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত লজ্জার। আমরা চাই অবিলম্বে বাজেট বৈষম্য দূর করে আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হোক।
আরও পড়ুন
ববি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রসংসদের রোডম্যাপ ঘোষণা না হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতা এবং জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে ব্যর্থতার পরিচয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
কুয়াকাটা যাওয়ার পথে আটকে পড়া যাত্রী মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এভাবে সড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতে না ফেলার আহ্বান জানাচ্ছি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা এক ঘণ্টার জন্য মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এআরবি