দেবে যাওয়া সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, আতঙ্কে স্থানীয়রা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে একটি সড়কের স্বল্প দূরত্বের (আধা কিলোমিটার) মধ্যে দুটি সেতুর আরসিসি গার্ডার ও পলেস্তারা খসে পড়েছে, যার ফলে সেতু দুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে একটি সেতুর অর্ধেক অংশ দেবে গেছে। তবুও প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও হালকা যানবাহন এই বিপজ্জনক সেতুগুলো দিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুগুলো দ্রুত সংস্কার না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
সেতু দুটি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারগামী সড়কে অবস্থিত। উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মিটার ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু দুটি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। দুই বছর আগে এগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও, বরাদ্দের অভাবে এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।

শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা খলিল মিয়া (৬০) বলেন, সেতু দুটি দিয়ে হালকা যান চলাচল করলেই কাঁপতে থাকে। মনে হয় যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে।
আরও পড়ুন
স্থানীয় প্রবীণ আসাদুল ইসলাম (৭০) বলেন, দ্রুত সংস্কার করা না হলে এই ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
পল্লী চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম (৫০) জানান, এই সেতু দিয়েই প্রতিদিন হাজারো মানুষ, শিক্ষার্থী, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত করেন। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর কারণে পণ্যের পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, সেতু দুটি বহুদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুধকুমার নদের ভাঙন রোধে চলমান ৬টি প্রকল্পের কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই দ্রুত সেতু দুটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি পুনর্নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
মমিনুল ইসলাম বাবু/এআরবি