নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জেলার বদলগাছীতে পরীক্ষা শেষে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে সোহেল (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, পোরশায় সাপের দংশনে আব্দুর রহিম (৮) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়। একই ঘটনায় মাহমুদুল্লাহ (১০) নামে আরও এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বদলগাছী উপজেলার কোমারপুর-দোনইল এলাকায় ছোট যমুনা নদীতে সোহেল ডুবে যায়। অপরদিকে, একই দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোরশায় আব্দুর রহিমের মৃত্যু হয়।
নিহত সোহেল বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের কোমারপুর গ্রামের আরমান হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় মির্জাপুর কে.সি. উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১টার দিকে সোহেল তার বন্ধুদের সঙ্গে জাল নিয়ে ছোট যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। বন্ধুরা নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে গেলেও সোহেলের কোমরে জালের রশি বাঁধা থাকায় সে পানিতে ডুবে যায়। পরে তাকে দেখতে না পেয়ে বন্ধুরা আশপাশে ডাকাডাকি শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলেরা ও এলাকাবাসী সোহেলকে উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেল ৪টার দিকে বদলগাছী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
নিহত আব্দুর রহিম পোরশা উপজেলার চকনারায়ণ গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং আহত মাহমুদুল্লাহ গানইর গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে। তারা দুজনই নিতপুর ইউনিয়নের বালা শহীদ হাফেজিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে খাবার শেষে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে তারা একই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের দুজনকে সাপে দংশন করে। চিৎকার শুনে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আব্দুর রহিমের মৃত্যু হয়। মাহমুদুল্লাহর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বদলগাছী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পোরশা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, পরিবারের অনুরোধে এবং কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম শামীম/এআরবি