শ্রীমঙ্গলে শেভরনের কনডেনসেট লাইনে আগুন, বাবা-ছেলে দগ্ধ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশের কনডেনসেট পাইপলাইনে দুর্বৃত্তরা অবৈধভাবে ট্যাপিং করায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাবা-ছেলে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ২নং ভুনবীর ইউনিয়নের ইলামপাড়া এলাকার জৈন্তা ছড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল থেকে জৈন্তা ছড়ার পানিতে কনডেনসেট (তরল হাইড্রোকার্বন) ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছড়ার মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা যায়। ওই ছড়াতে মাছ ধরতে নেমেছিলেন ভূনবীর এলাকার বশির মিয়া (৫০) ও তার ছেলে রেদোয়ান (২০)। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কনডেনসেট পাইপলাইনে হঠাৎ আগুন ধরে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের মানুষ চিৎকার করে ছুটে আসে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা দগ্ধ বাবা-ছেলেকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শেভরন কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্বৃত্তরা পাইপলাইনে অবৈধভাবে ট্যাপিং করায় কনডেনসেট ছড়িয়ে পড়ে এবং রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়।
শেভরনের মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তাদের গ্যাস উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়েনি। তিনি দুর্বৃত্তদের ট্যাপিং করা কনডেনসেট পাইপলাইন থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানান।
শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর সোলেমান আহমেদ বলেন, ভয়াবহ আগুনের শিখা আকাশ পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ইউএনও ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। আগুনে দগ্ধ বাবা-ছেলের সুচিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরকে