ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারতের পূজামণ্ডপে উপস্থাপনা সরকারের বিরোধিতার শামিল

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূজামণ্ডপে বিতর্কিত প্রতিমায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসুর’ হিসেবে দেখানোর তীব্র্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে এ ধরনের উপস্থাপনা গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরোধিতার শামিল।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের ছনাটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এই উসকানিমূলক ঘটনায় ভারত সরকারের নীরব ভূমিকা রহস্যাবৃত, উদ্বেগজনক এবং নিন্দনীয়। এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকা গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী গণশত্রু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ইন্ধন আছে।
সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ রাব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান, আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার, মাহবুবুল আলম, জাকিরুল ইসলাম টোটন, আবদুল মমিন শাহীন, গাজিউর রহমান, হুমায়ুন তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সম্মেলন শেষে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, দুধনই, গোয়াতলা, গামারীতলা, সদর, বাঘবেড় এবং হালুয়াঘাট উপজেলার কৈচাপুর, নড়াইল, বিলডোরা, শাকুয়াই ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বিএনপি নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
পরিদর্শনকালে তিনি ভক্ত ও পূজারীদের প্রতি শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিএনপি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশিদের দল। বিএনপি জনগণের রায় নিয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের সুখ, শান্তি, নিরাপত্তা, ধর্ম-কর্ম পালনের স্বাধীনতা এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির চর্চার অধিকার সুনিশ্চিত করবে।
এ সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে স্বাগত জানান। পরে বিভিন্ন মন্দিরে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন এই বিএনপি নেতা।
আমান উল্লাহ আকন্দ/আরএআর