এইচএসসিতে শীর্ষে ময়মনসিংহের কেবি কলেজ

এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজ। এ কলেজে পাশের হার ৯৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সাফল্য ধরে রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কেবি কলেজ থেকে ৭৫৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৫৪ জন, অকৃতকার্য হয়েছে মাত্র ৪ জন। পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা মোট উত্তীর্ণদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান আরও বলেন, পূর্বে শিক্ষার প্রকৃত চিত্র গোপন রেখে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ফলাফল প্রকাশের কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এবারের ফলাফলে প্রকৃত মেধাবীরা স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অতীতের অতিরঞ্জিত ও কাল্পনিক ফলাফলের জৌলুস মিলিয়ে গেছে।
তিনি এই সাফল্য জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে উৎসর্গ করেন। তার ভাষায়, তাদের আত্মত্যাগের পথ ধরেই সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠছে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র আজ সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. হাম্মাদুর রহমান, সদস্য ফারহানা আজিজ, সিনিয়র শিক্ষক ড. ভাস্কর সেন গুপ্ত, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএম আব্দুল্লাহ রনি, এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রফেসর ড. হাম্মাদুর রহমান বলেন, পূর্বের বছরগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কলেজের গৌরব ম্লান হয়ে গিয়েছিল। তবে দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই গৌরব পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন
নিজ প্রতিষ্ঠানের এমন অর্জনে আনন্দে উদ্বেলিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সাফল্য উদযাপনে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় কেবি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকেই কলেজে মানবিক শাখা না থাকলেও, বর্তমান অধ্যক্ষের প্রচেষ্টায় চলতি বছরের ২৭ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ছয়টি শর্তে মানবিক শাখা চালু হয়। এ শাখায় ২০০টি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কলেজের চারটি ভবনে ৩৬ জন শিক্ষক পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও ৬ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এবং ২১ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কলেজে কর্মরত আছেন।
আমান উল্লাহ আকন্দ/এআরবি