ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫২ নম্বর ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইসরাফিল হোসেন সম্প্রতি তার বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ১৫ অক্টোবর মেয়েটির অভিভাবক শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এবং শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের পরদিন ইউএনও কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও, থানা পুলিশের ওসি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অভিযোগের সত্যতা প্রতীয়মান হলে ইউএনও অভিযুক্ত শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে অন্যত্র বদলির নির্দেশ দেন এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন পাঠান।
তবে বদলির নির্দেশ কার্যকর হওয়ার আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক- এমন তথ্য জানান উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবির। যিনি পরদিন ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্তে যান।
তদন্তে ভুক্তভোগী ছাত্রী, দুইজন সহকারী শিক্ষক ও এক দপ্তরীর লিখিত বক্তব্যে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এর ভিত্তিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এনামুল হক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠান। এরপর ১৯ অক্টোবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মো. ইসরাফিল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ১৬ অক্টোবর থেকে কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তার এই আচরণ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাকে অসদাচরণ ও কর্মস্থল ত্যাগের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না সে বিষয়ে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইব্রাহিম খলিল/এআরবি