ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ১১ শিক্ষার্থীকে হস্তান্তর, মারধরের অভিযোগ

সিটি ইউনিভার্সিটিতে আটকে রাখা ১১ জন শিক্ষার্থীকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পক্ষ দাবি করছে, আটকে রাখা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে দুপুরে সিটি ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষ ওই ১১ জন শিক্ষার্থীকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির হাতে হস্তান্তর করে। হস্তান্তরকৃত শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে ১১ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে হস্তান্তরের আগে সিটি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। অবশ্যই তাদের অবস্থা খারাপ না হলে তাদের হাসপাতালে নেয়া হতো না। বাকিদের মাথা, হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারা সবাই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। পরে তারা যখন ছাড়া পেয়েছে, আমাদের জানিয়েছে যে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।
তবে সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবু জায়েদ বলেন, আমরা তাদের আটকে রাখিনি। তারা এখানে ঘুরছিল। যেহেতু অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল, তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি যাতে কেউ তাদের মারধর করতে না পারে। এজন্য তাদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি।
সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সিটি ইউনিভার্সিটি বা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। কেউ অভিযোগ দিলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোটন আচার্য্য/এআরবি