পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না ২ শিক্ষার্থীর, সড়কে পড়ে আছে অ্যাডমিট কার্ড

নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ ৬ যাত্রীর নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইসরাত জাহান ও তানিম হাসান নামের দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হন।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার কবিরহাট-বসুরহাট সড়কের ইসলামিয়া আলিয়া মাদরাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসরাত জাহান নোয়াখালী সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে এবং তানিম হাসান হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজার এলাকার ডা. আবুল কাশেমের ছেলে।
বাকি নিহতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মৃত খুরশীদ আলমের ছেলে অটোরিকশাচালক শাহ আলম খোকন, একই ইউনিয়নের বাসিন্দা সুলতান আহমেদ সুমন ও একই উপজেলার বাসিন্দা বিবি কুলছুম ও জান্নাত ।
জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে নোয়াখালী সদরের মাইজদী হতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট যাওয়ার পথে কবিরহাট পৌরসভাস্থ পূর্ব ফতেপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে অটোরিকশাটি যাত্রীসহ ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা টিপু সুলতান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রাকটি অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে টেনে চালিয়ে যাচ্ছিল। আমরা বাধা দিয়ে পেছনে নিতে বলায় সে পিছনে নেয় এবং আমরা অটোরিকশাটি ট্রাকের ভেতর থেকে বের করি। দুমড়ে মুচড়ে সব লণ্ডভণ্ড অবস্থা। এরপর প্রেসক্রিপশন, কলেজ আইডি কার্ড, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড দেখে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
নোয়াখালী সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইসরাত জাহান আজকে কলেজে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। কিন্তু এই পরীক্ষা ছিল তার শেষ পরীক্ষা। আমাদের কলেজের আরেক শিক্ষার্থী তানিম হাসানও সেই দুর্ঘটনায় মৃতু্বরণ করেন। দুইজন শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, চালকসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়। এরপরে হাসপাতালে ৩ জন মারা যান। ঘটনার পরপর ট্রাকচালক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। গাড়ি দুটি থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হাসিব আল আমিন/আরকে