সুনামগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন ব্যারিস্টার আনোয়ার

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে গুলশানের চেয়ারপার্সনের কার্যালয় থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ২৩৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলে দেখা যায় এই আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য কয়ছর এম আহমদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ২০১৩ সাল থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। জনগণ চায় আমি নির্বাচন করি। নিশ্চিতভাবে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
দলীয় পদে থাকা অবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিদ্রোহী বলা যাবে কি যাবে না আমার জানা নেই। আমি বর্তমানে কোনো পদে নেই। যে কমিটিতে ছিলাম, সেটি অনেক আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই বিদ্রোহী বলা যাবে কি না আমার জানা নেই।
দল থেকে নিষেধাজ্ঞা এলে অবস্থান কী হবে এমন প্রশ্নে ব্যারিস্টার আনোয়ার দৃঢ়ভাবে বলেন, আমি একদম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি নির্বাচন করবই। এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও জানান, আগামী এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন তিনি।
জানা গেছে, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের উজানীগাঁও গ্রামের সন্তান। বাবা মরহুম আলহাজ মো. আব্দুর রহমান ছিলেন পরিবহন ব্যবসায়ী ও কৃষক।
শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে লন্ডনে আইনচর্চার পাশাপাশি জনসেবামূলক নানা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি ‘নীরব বিপ্লব’ ও ‘ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া যুক্তরাজ্যের নাগরিক অধিকারভিত্তিক একাধিক সংগঠন এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সদ্য বিলুপ্ত সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তামিম রায়হান/এমএন