টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ইউনুস সিকদারকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে টেকনাফের সর্বস্তরের বিক্ষুব্ধ জনতার ব্যানারে একই দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধরা থানা ঘেরাও করে অবস্থান নেন এবং ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজকর্মী এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস সিকদারকে দাওয়াতের নামে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলম ওরফে শাফুইয়াসহ সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম দেন বক্তারা।
বিক্ষোভ চলাকালে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের ক্ষোভ বুঝি এবং এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইন অনুযায়ী অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।
ওসির আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিক্ষোভকারীরা থানা ত্যাগ করেন।
গত ৫ নভেম্বর সকালে উপজেলার হ্নীলা রঙ্গিখালীর একটি ব্রিজের নিচ থেকে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের উপজেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুছ সিকদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন টেকনাফ মডেল থানায় নিহত ইউনুস সিকদারের স্ত্রী কহিনুর আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের উপজেলা সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলমকে প্রধান আসামি করে এজাহারনামীয় ৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ইফতিয়াজ নুর নিশান/আরএআর