প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে স্ত্রীর আত্মহত্যা

ভোলায় প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে চৈতি রানী (১৯) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে ভোলা জেলা শহরের পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মোনালিসা গলিতে একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তার স্বামীর নাম শুভ দাস। নিহত চৈতি রানী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সঞ্জয় দাসের মেয়ে বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে প্রবাসী শুভ দাসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চৈতি রানী দাস, ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। স্ত্রীকে পরিবারের কাছে রেখে গত দেড় মাস আগে কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ চলে যান শুভ দাস।
শুভ দাসের ভাগ্নি দিপা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে আমার বড় মামার স্ত্রী ও ছোট মামার স্ত্রী চৈতি রানী দুজনে মিলে মার্কেটে গিয়েছিল এবং তারা দুজন বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করছিল এবং কে কি কিনল তা দেখাল, এরপর যে যার রুমে চলে গেল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চৈতি রানীকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। পরে পার্শ্ববর্তী আরও একজন আত্মীয়কে ডেকে এনে শাবল দিয়ে তার রুমের দরজার ছিটকিনি ভেঙে ভেতরে ঢুকলে তাকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে তাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোবাইলে স্বামীর সঙ্গে কথা বলার পর অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে শুনেছি, তদন্ত চলছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খাইরুল ইসলাম/আরকে