কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি

শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে টানা তিন দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে কলমবিরতি পালন করছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা শহরের উপপরিচালকের কার্যালয়ের সামনে এক ঘণ্টাব্যাপী এই কলমবিরতি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ঘটনার ছয় দিন পার হলেও অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। এ কারণে অনেক কৃষি কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে কাজ করতে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ কৃষি বিভাগ থেকে বিভাগীয় কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় একযোগে এই কলমবিরতি পালন করা হচ্ছে। আগামী ১২ নভেম্বর অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৩ নভেম্বর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও তার সহযোগী ফজলুর রহমানের (৩২) বিরুদ্ধে। ঘটনার পরদিন রাতে কৃষি কর্মকর্তা মোরসালিন মেহেদী নকলা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন, যেখানে ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুরকে আসামি করা হয়। পরদিন ৬ নভেম্বর দুপুরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বহিষ্কার করে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
নাইমুর রহমান তালুকদার/এআরবি