শেখ হাসিনা আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল : টুকু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, রাখে আল্লাহ মারে কে? শেখ হাসিনা আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই দেশের অত্যাচারকারী, নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, দেশের সম্পদ লুটকারী সবাই চেয়েছিল টুকু যেন জীবিত না থাকে। আমি ভেবেছি, আমার বন্ধু সাদেক হোসেন খোকা যেমন বিদেশে যেয়ে জীবিত ফিরতে পারে নাই। আমারও মনে হয়, বাক্সের মতো বন্দি হয়ে আসতে হবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে বিএনপি থেকে মনোননয় পাওয়ায় বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এবং দেশবাসীর সেবা করার জন্য বিএনপি আমাকে আবারও ধানের শীষ তুলে দিয়েছে। আপনাদের সেবা করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতনের কারণে বাকশাল কায়েম করার পরে যখন শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলো তখন বাংলাদেশের মানুষ চরম হতাশার মধ্যে ছিল। আর্মির মধ্যে বিশৃঙ্খলা, জিয়াউর রহমানকে বন্দি করা হলো। সে সময়ের ১৫ আগস্ট থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে হতাশার সময়। এরপর এদেশের সিপাহী-জনতা একত্রিত হয়ে জিয়াউর রহমানকে বন্দি দশা থেকে মুক্ত করে এনে বাংলাদেশের মস্তকে বসালো। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে দেশের মানুষ আবারও আশ্বাসের জায়গা পেল।
জামায়াতকে উদ্দেশ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, তারা তালিমের নামে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে। এসব করে মুনাফেকি করতেছে। আমি বলতে চাই ইসলাম কায়েম করার জন্য তোমাদের প্রয়োজন নেই। এদেশের মানুষ ইসলামে বিশ্বাস করে। নতুন করে আমাদের ধর্ম শিখাতে হবে না। আপনারা কোনো দিন দেশের মঙ্গল চাননি। জিয়াউর রহমান সুযোগ দিয়েছিল বলেই তোমরা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছো। আর সেই দলকে তোমরা রক্তচক্ষু দেখাবে, এটা কেউ মেনে নেবে না।
শ্রমিকদের উদ্দেশে টুকু বলেন, চিরকাল আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। আপনাদের দাবি দাওয়ার সাথে সহমত। নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের জন্য যা যা করলে কল্যাণকর, সেসব কিছু করব।
এর আগে বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে এসে পৌঁছান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এ সময় জেলা, উপজেলা, শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা দেন। এরপর ছাদখোলা গাড়িতে কড্ডার মোড় থেকে জেলা শহরে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে করতে আসেন।
এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর কায়েম সবুজ, জেলা যুবদলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল আমিন খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
নাজমুল হাসান/আরএআর