নীলফামারীতে আগাম আলু উত্তোলন, হাসি নেই কৃষকের মুখে

প্রতি বছরের মতো নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শুরু হয়েছে আগাম আলু উত্তোলন। তবে বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৪০ টাকা হওয়ায় হাসি নেই কৃষকের মুখে। ফলন কম, আবার বাজার দরও আশানুরূপ নয়—সব মিলিয়ে লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কেশবা গ্রামে আগাম আলু উত্তোলনের দৃশ্য দেখা যায়। মাঠজুড়ে কেউ মাটি খুঁড়ছেন, কেউ আলু কুড়াচ্ছেন, কেউবা বস্তা ভর্তি করছেন। পাশে চলছে ডিজিটাল মিটারে ওজন মাপার কাজ। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
কৃষকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া এবং বেশি উৎপাদন খরচের কারণে ফলন আশানুরূপ হয়নি। তার ওপর আগাম আলুর দামও অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। বীজ কেনা, হিমাগারে সংরক্ষণসহ সব খরচ মিলিয়ে অনেকেই লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন। দাম কম হওয়ায় অনেকে মাঠেই আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, আমি প্রতি বছর আগাম আলু রোপণ করে থাকি। এতে ভালো দাম পাই, তবে এবার আলুতে হতাশা দেখা দিয়েছি। গতবছর কেজি প্রতি ১২০ টাকা বিক্রি করেছি, এবার ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম।
আরেক কৃষক মতিন আলী বলেন, প্রতি বছর আগাম আলু রোপণ করি, তবে এবারের আলুতে হতাশা দেখা দিয়েছি। এবার আলু রোপণের ব্যয় উঠবে কিনা সেটি নিয়ে চিন্তায় আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. লোকমান আলম বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও উপজেলায় আগাম আলু উত্তোলন করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন না।
এএমকে