জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে যাচ্ছে সেই অটো ড্রেন ক্লিনার
তরুণ উদ্ভাবক ওবায়েদুল ইসলামের ‘অটো ড্রেন ক্লিনার’ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিটি দেখে গ্রহন করলে জাতীয়ভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমীনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ওবায়েদুল ইসলামকে জেলা প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার স্যারের নির্দেশে এই উদ্ভাবককে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক স্যার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উপ-পরিচালক স্যারের সঙ্গে কথা বলেছেন। লকডাউন শিথিল হলে ওবায়েদুল ইসলামের অটো ড্রেন ক্লিনার প্রযুক্তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হবে। এজন্য জেলা প্রশাসন থেকেই ওবায়েদুল ইসলামকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে প্রযুক্তিটি প্রদর্শনের পরের সিদ্ধান্ত জাদুঘর কর্তৃপক্ষ নেবে।
ওবায়েদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে আজ (২৩ জুন) আমাকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। অনুদান পেয়ে ভালো লাগছে। কাজের দায়িত্ব ও উৎসাহ আরও বেড়ে গেল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিটি প্রদর্শন করতে পারলে আমার বিশ্বাস জাতীয়ভাবে এই প্রযুক্তি গৃহীত হবে।
গত ১ জুন ‘জনবল ছাড়াই শহর পরিষ্কার রাখবে অটো ড্রেন ক্লিনার’ শিরোনামে ওবায়েদুল ইসলামের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নিয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকাপোস্ট.কমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসন ওবায়েদুল ইসলামের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দেখে তাকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেয়।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মধ্যম পাংশা গ্রামের বাসিন্দা মোসাম্মৎ আলেয়া বেগমের ছেলে ওবায়েদুল ইসলাম থাকেন মামা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল জলিল শরীফের বাড়িতে। শিশু বয়সে মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদ হলে মামা বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া করেন। তিনি বাবুগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের জেনারেল মেকানিকস ট্রেড থেকে এসএসসি ভোকেশনাল এবং খুলনার ম্যানগ্রোভ ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন।
তার উদ্ভাবিত অটো ড্রেন ক্লিনার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ড্রেন পরিষ্কার করবে। একই সঙ্গে ড্রেনের ময়লা ও পানি আলাদা করে রাখবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহরের ড্রেন পরিষ্কার করতে একজন জনবলেরও দরকার হবে না। আর পুরো প্রকল্পটি চলবে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর