শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান, মিলেছে নানা অনিয়ম

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় ৫০ জন রোগীর জন্য কাগজে-কলমে আনা হয় ৪০টি ডিম। কিন্তু গুণে পাওয়া যায় ৩৪টি । এছাড়াও ওষুধ বিতরণে অনিয়ম খুঁজে পায় দুদক।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অনিয়মের তথ্য পায় দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়।
গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হাসান বলেন, দুদকের হট লাইনে দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ অনুপস্থিত থাকেন, পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন, সেবার মান অনেক নিম্ন, ওষুধ বিতরণে সমস্যা, রোগীদের ওষুধ হাসপাতাল থেকে না দিয়ে বাহির থেকে কেনা, খাবারের মান নিম্ন, রোগীদের যে পরিমাণ খাবার দেওয়ার কথা সে পরিমাণ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসে। আরও কিছু অনিয়মের প্রেক্ষিত্রে কিছু অভিযোগ আসে।
তিনি বলেন, প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনের প্রেক্ষিত্রে আমরা বুধবার সকালে গাজীপুর থেকে দুদকের একটি টিম আমরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোর, রান্নাঘর ও জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণ করি। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৫০ জন রোগীর জন্য মাছ প্রয়োজন ৮ কেজি ২০০ গ্রাম, সেখানে মাছ রয়েছে মাত্র ৫ কেজি, দেড় কেজি ডাল থাকার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫০০ গ্রাম, দেড় লিটার তেল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫০০ গ্রাম, ডিম ৫০ জন রোগীর জন্য ৫০টি লাগবে, কিন্তু কাগজে ৪০টি লিখা থাকলেও গুণে পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৩৪টি। এছাড়াও হাসপাতালের রোগীর আসনে সিট নম্বর লেখা না থাকাসহ নানা ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া যায়। একজন রোগী ৮টি ওষুধ লেখা থাকলেও ৩টা, ৪টা, ৫টা ওষুধ বাহির থেকে আনা হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে ওষুধগুলো সাপ্লাই নেই বলে জানান তারা। কিছু ওষুধ আছে চিকিৎসক লিখেই নাই, অথচ রেজিস্ট্রারে ইনচার্জ বা নার্সরা বিতরণ দেখিয়েছেন। আমরা যে অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে এসেছিলাম সেগুলোর সত্যতা পেয়েছি। যে সমস্যাগুলো পেয়েছি তা রিপোর্ট আকারে আমরা কমিশনের কাছে দেব। কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরএআর