নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ বলেছেন, সামনে নির্বাচন রয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকবো। এখানে আমাদের কারোর প্রতি কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আপনারা জানেন সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের লটারির মাধ্যমে পদায়ন হয়েছে। এখানে আমার যারা সহকর্মী রয়েছে তারা সবাই নতুন। এছাড়াও যারা থানায় ওসি হিসেবে আছেন তারাও নতুন। সুতরাং আমাদের কারো সাথে কারোর পূর্ব থেকে কোনো কিছু নেই। আমরা সম্পূর্ণ সরল পথে চলবো। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যে কাজগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশের করা উচিত আমরা সেটা করবো। এ ক্ষেত্রে আমরা কখনো পিছপা হবো না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সব ক্ষেত্রে আপনাদের (সাংবাদিক) সহযোগিতা কামনা করছি। পজিটিভ সহযোগিতা সব সময় আমাদের সমৃদ্ধ করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে, যাতে আমরা আমাদের ভালো কাজটুকু আরও ভালোভাবে করতে পারি। আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটা রাজবাড়ী গড়ে তুলবো।
পুলিশ সুপার বলেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্টকে কেন্দ্র করে আমাদের নিজস্ব কোনো অস্ত্র লুট হয়নি। তারপরও সন্ত্রাসীদের কাছে যে অস্ত্র থাকবে সেটা আমাদের জন্য একটা এলার্মিং। সামনে যেহেতু নির্বাচন এটাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই অভিযানটা আমরা পরিচালনা করব। পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থা রয়েছে যেমন র্যাব, সেনাবাহিনীর সাথে যৌথভাবে সমন্বয় করে আমরা ভালো একটা অভিযান পরিচালনা করব।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ বলেন, আমরা এক সময় পাসপোর্ট তদন্ত করলেও এখন সেটা করি না। কিন্তু আমরা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নামে একটা সার্টিফিকেট দেই। আমরা এটা তদন্ত করি, পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটার কাউন্টার সাইন করে। এখানে যিনি আবেদন করেন তিনি আবেদন করার পর ঘুরতে থাকেন কখন তার কাজটা শেষ হবে। যেহেতু তারা সবাই সমানভাবে সচেতন না, সেহেতু অনলাইন তারা সেভাবে চেকও করেন না। আমি এ জেলায় যোগদান করার পর একটা কাজ শুরু করেছি এ বিষয়ে। আমরা সব আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজ দিয়ে দেব। যখন একজন আবেদনকারীর সকল কাজ শেষ হয়ে যাবে হস্তান্তরযোগ্য হয়ে যাবে তখন আমরা আবেদনকারীর মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে দেব। সেই ম্যাসেজে লেখা থাকবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রেডি ফর ডেলিভারি। এর ফলে আবেদনকারীকে পুলিশ অফিসে এসে বারে বারে ঘুরতে হবে না। আমাদের এই সেবার মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে আসা সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি কমবে।
মতবিনিময় সভায় ইভটিজিং, মাদক, অবৈধ অস্ত্র, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা, কিশোর অপরাধ, ফুটপাত দখল, বিভিন্ন অপরাধ, ট্রাফিক ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাপস কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শামসুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, ডিআইও-১ মো. জিন্নাহ, গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরো উপস্থিত ছিলেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরএআর