একই বংশ ও একই গ্রাম থেকে দুই দলের ২ সংসদ সদস্য প্রার্থী

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে কোটালীপাড়া উপজেলার একই বংশ ও একই গ্রামের দুই নেতা দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। ইতোমধ্যে উভয় দলই তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
এই দুই প্রার্থী হলেন- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাঝবাড়ি গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন দাড়িয়ার ছেলে ও গণঅধিকার পরিষদ কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আবুল বশার দাড়িয়া বাসু এবং একই গ্রামের মো. সিদ্দিক দাড়িয়ার ছেলে ও জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আরিফুল দাড়িয়া।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি আবুল বশার দাড়িয়া বাসুকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি একই আসনে মো. আরিফুল দাড়িয়ার নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। এ ঘোষণার পর বিষয়টি উপজেলা জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
মাঝবাড়ি গ্রামের সমাজসেবক রেয়াজুল দাড়িয়া বলেন, একই বংশ ও একই গ্রামে দুইজন এমপি প্রার্থী হওয়া আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। আমার জানা মতে, দাড়িয়া বংশ থেকে এই প্রথম কেউ এমপি পদে দাঁড়িয়েছে। তবে একজন প্রার্থী হলে আরও ভালো হতো।
একই গ্রামের বাসিন্দা নার্গিস বেগম বলেন, শুনেছি আমাদের গ্রাম থেকে দুইজন নির্বাচন করবে। আমরা যাকে ভালো ও যোগ্য মনে করব, তাকেই ভোট দেব।
গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী আবুল বশার দাড়িয়া বাসু বলেন, যে কোনো দলের প্রার্থী হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারে- এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। একই গ্রামের দুইজন নয়, পাঁচজনও প্রার্থী হতে পারে। আমার দল আমাকে মনোনীত করেছে, আর আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের কাছে গিয়ে গণসংযোগ করছি। আশা করছি ভালো ফল হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রার্থী মো. আরিফুল দাড়িয়া বলেন, দল আমাকে তাদের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমি এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছি। একই গ্রামে দুইজন প্রার্থী হওয়ায় আমার নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।
এছাড়াও গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে এ দুই প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও গোপালগঞ্জ জামায়াতের জেলা আমির এম এম রেজাউল করিম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখকেও গণসংযোগ করতে দেখা গেছে।
এআরবি