শিশু সাজিদের মৃত্যুতে অশ্রুসিক্ত তানোরবাসী

অবশেষে উদ্ধার হলো দুই বছরের শিশু সাজিদের মরদেহ। তার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তানোরবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর বয়সী শিশু সাজিদ একটি গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যায়। গর্তে পড়ে যাওয়ার ৩২ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সাজিদের এমন মৃত্যুতে পরিবার, প্রতিবেশী ও পরিচিতজন সবার মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শিশুটি ছিল পরিবারের মেজো সন্তান। তার সরল হাসি, নিষ্পাপ মুখ ও চঞ্চল আচরণের কারণে সবাই তাকে ভালোবাসতো। আজ সেই শিশুর শূন্যতা যেন পরিবার ছাড়িয়ে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে। গ্রামের মানুষজনও একত্রিত হয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন।
শিশুটির মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে এখন শোকের আবহ। তার স্মৃতি চিরকাল হৃদয়ে বেঁচে থাকবে বলে জানান এলাকাবাসী।
এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, এলাকায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েনি মৃত্যুর খবর। কিন্তু সাজিদের নিখোঁজ ও তাকে গর্ত থেকে জীবিত উদ্ধারে সবাই দোয়া করেছে। তার মৃত্যুর খবরে শুধু তানোরবাসী নয়, রাজশাহীবাসী ব্যথিত হয়েছে। তার এমন মৃত্যুতে শুধু পরিবার-প্রতিবেশী নয়, সাজিদকে দেখতে আসা সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
সজিবুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, শিশুটি উদ্ধারের খবরে সবাই আশায় বুক বেঁধে ছিল। তাকে হাসপাতালে নেওয়ায় সবাই মনে করছিল সে জীবিত আছে। কিন্তু শিশুটি মারা গেছে। সাজিদকে খুঁজে পাওয়ার জন্য অনেকে দোয়া করেছেন। তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর পরিবারের সদস্যের সঙ্গে অনেকে কান্না করতে করতে বাড়ি থেকে বের হন। প্রায় সবার চোখে পানি টলমল করছিল।
এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করে। নিহত শিশু সাজিদ কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিব উদ্দীনের ছেলে।
শাহিনুল আশিক/এসএসএইচ