সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লটারিতে বালকের নাম

নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তির লটারির তালিকায় এক বালকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর নানা আলোচনা সমালোচনা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাসহ সচেতন মহল।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে লটারির তালিকাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মর্নিং শিফটের তালিকার ৫তম স্থানে ওয়াহিদ বিন মেহেদি মাহিদের নাম দেখা যায়। ওই তালিকায় তার বাবার নাম মেহেদি হাসান ও মায়ের নাম মাহমুদা বেগম উল্লেখ করা হয়েছে।
সাধারণত বালিকা বিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু বালিকা বিদ্যালয়ে বালকের নাম আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ওয়াহিদ বিন মেহেদি মাহিদের মা মাহমুদার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে চাননি।
আরিফ ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা সফ্টওয়্যারের এ ভুল গতবার আমরা দেখেছিলাম। আর যাতে এমন না হয় সেটি করা উচিত।
আরেক অভিভাবক সুলতানা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তির শুরুতে এমন কাজ মানসিকভাবে তাদের দুর্বল করে দেয়। এজন্য ভর্তির এসব বিষয় কর্তৃপক্ষের সচেতন হওয়া উচিত।
নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ভর্তি কমিটির সদস্য ইমরান আলি বলেন, ওই শিক্ষার্থী যে কম্পিউটারের দোকানে আবেদন করেছে সেই ভুল করেছে। তাছাড়া ঢাকা থেকে সফ্টওয়্যারটার উন্নতি করতে পারেনি। বালিকা বিদ্যালয়ে বালক আবেদন করলে সেটি রিজেক্ট হওয়ার কথা কিন্তু সেটি হয়নি। তাছাড়া বালিকা বিদ্যালয়ে বালকের ভর্তির কোনো সুযোগ নেই।
আরকে