গোয়ালঘরে কৃষকের দুটি গরু জবাই করে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় রাতের অন্ধকারে এক কৃষকের গোয়ালঘরে ঢুকে দুটি গরু জবাই করে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চর লেংটা গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষক আব্দুস সাত্তারের বসতঘরের পাশেই তার গোয়ালঘর। সেখানে তিনি একটি গাভী ও একটি ষাঁড় লালন-পালন করতেন। রোববার সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো গরু দুটিকে খাবার দিয়ে তিনি ঘুমাতে যান। পরে ফজরের নামাজ শেষে গোয়ালঘরে গিয়ে তিনি দেখতে পান—দুটি গরুই জবাই করা অবস্থায় পড়ে আছে। এ ঘটনায় তার প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী কৃষক।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করে গরু দুটি জবাই করে যেতে পারে। ঘটনাটি এলাকায় গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। দ্রুত দোষীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। কারা, কেন এমন জঘন্য কাজ করেছে—কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। ফজরের নামাজ পড়ে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখি আমার গরু দুটি জবাই করা অবস্থায় পড়ে আছে।
ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবু তাহের ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন নৃশংস ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। মানুষের সঙ্গে শত্রুতা থাকলে মানুষে মানুষে মীমাংসা হোক, কিন্তু নিরীহ গরু জবাই করে প্রতিশোধ নেওয়া ভয়ংকর মানসিকতার পরিচয়।
চরএলাহী ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা আবুল কালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোয়ালঘরে ঢুকে গরু জবাই করে চলে যাওয়া সহজ কাজ নয়। এটি পরিকল্পিত ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসিব আল আমিন/আরকে