ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুরে এনসিপির মশাল মিছিল

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শরীয়তপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টি শরীয়তপুর জেলার সদস্য সচিব সবুজ তালুকদার বলেন, শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনে দুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হব।
তিনি আরো বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বারবার ঘটবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতা এবং একজন প্রতিবাদী কণ্ঠ। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডকেও খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে ছাত্রজনতা আবারও রাজপথে নেমে আসবে।বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নয়ন দাস/বিআরইউ