পুকুরে বিষ প্রয়োগ, ভেসে উঠল ৩৫ লাখ টাকার মাছ

নাটোরের সিংড়ায় একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামে ১২ বিঘা আয়তনের ওই পুকুরে এই ঘটনা ঘটে।
মাছগুলো বিক্রির উপযুক্ত হয়ে ওঠার ঠিক আগমুহূর্তে এমন ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে পুকুরে মরা মাছ ভেসে থাকতে দেখে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের মসজিদ ও কবরস্থান সংলগ্ন পুকুরটি গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন পাড়েরা গ্রামের মৎস্যচাষি সিদ্দিক প্রামাণিক। গত ছয় মাস ধরে তিনি সেখানে পাবদা, ট্যাংরা, রুই, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে ছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি সিদ্দিক প্রামাণিক জানান, পুকুরটিতে দেড় লাখ পাবদা, ২ লাখ ট্যাংরা, ২ হাজার রুই, ১ হাজার মৃগেল, ২২০টি বিগহেড ও ৩৮০টি সিলভার কার্পসহ বিপুল পরিমাণ মাছ ছেড়েছিলেন তিনি। মাছের পোনা, খাবার ও পরিচর্যা বাবদ তাঁর প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা ছিল, ৩৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে কে বা কারা শত্রুতা করে পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট (বিষ) প্রয়োগ করায় সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
সিদ্দিক প্রামাণিক আক্ষেপ করে বলেন, ‘শত্রুতা করে আমার সব শেষ করে দিলো। আমি তো পথে বসে গেলাম। প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মসজিদ ও কবরস্থান কমিটির সদস্য ইউনুছ সরকার ও রুবেল হোসেন বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এই পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে পুকুরের সব মাছ মরে গেছে। তারা দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আশিকুর রহমান/বিআরইউ